জাহেদুল ইসলাম, লোহাগাড়া: 

লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোহাম্মদ সাইদ (১৭) নামের ১ ছেলের ব্যাগের ভিতর ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে পুলিরেশর হাতে ফেঁসে গেলেন ২ জন। তারা হলেন, মোহাম্মদ মাহি উদ্দিন (২৮) ও শুবল দাশ(২৬)। এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানায় ৭ জনকে আসামী করে পৃথক পৃথক ২টি মামলা রুজু হয়।

জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া বাজারে উত্তর পাশে হলুদ,আব্দুস ছবুরের মরিচ ভাঙ্গার মিশনের দোকানের সামনে থেকে ভিকটিম সাইদকে জোর পূর্বক তুলে পদুয়া বড় মন্দিরের উত্তর পাশে নিযে গিয়ে মারধর করে ভিকটিমের ব্যাগের ভিতর ৩টি তাজা কার্তুজ দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে লোহাগাড়া থানা পুলিশের এসআই সোহরাওয়ার্দী সঙ্গয়ি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল হতে ভিকটিম উদ্ধার করে।

পুলিশ আসার খবর পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসলেন থলের বিড়াল। ফেঁসে গেলেন মহিউদ্দিন ও শুবল। পালাতক রয়েছেন মামলার আসামী, পদুয়া মমতাজ মেম্বার বাড়ির সাব্বির আহমদের পুত্র মো: জাহেদুল ইসলাম,নিজ তালুকক এলাকার মৃত সৈয়দ আহমদেও পুত্র মো: হেলাল উদ্দিন, ফরিয়াদিওকুল এলাকার আবুল কাশেমের পুত্র মো: সেলিম, নয়া পাড়া এলাকার তৌহিদুর ইসলাম ও সেগুন বাগান জলদাশ পাড়ার মৃত আবদুল মতলবের পুত্র আব্দুর আজিজ।

ভিকটিম সাইদ সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর ছদাহা হাঙ্গর রাজঘাটা এলাকার আহমদ কবিরের পুত্র। সে গাছবাড়িয়া সরকারি করেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র।

সাইদ জানান, গত ৪/৫ মাস পূর্বে মামলার আসামীদের সাথে মারামারি হয়। তারই জের ধরে ঘটনার দিন তাকে আটক করে মারধর করে। তার ব্যাগের ভিতর জোর পূর্বক ৩ টি কার্তুজ দিয়ে ফাঁসাতে চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে বেঁচে গেল। উল্টো ফেঁসে গেলেন প্রকৃত আসামীরা।

লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পিপিএম বার বলেন, এক কলেজ ছাত্রকে পূর্ব শত্রুতার জের ধওে মরধর করে ৩ টি কার্তুজ দিয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিম ও ঘটনার সাথে জড়িতদের থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে প্রকৃত রহস্য। ভিকটিমকে তার পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়। দৃত ও পালাতক আসামীদেও পরস্পর যোগসাজসে ও জ্ঞাতসাওে বে-আইনী ভাবেআগ্নেয়াস্ত্রে ও কার্তুজ তাহাদের হেফাজতে রাখিয়া ১৮৭৮ সনের আইনের ১৯(এফ) অপরাধ করেছে। আসামীদেও বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়। ভিকটিমের বড় ভাই শহিদুর ইসলাম বাদী হয়ে পৃথক আরেকটি মামলা রুজু করেন।

এ ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য এলাকাবাসী লোহজাগাড়া ওসি শাহজাহান পিপিএম বারকে সাধুবাদ জানান।